তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভোটের মুখে : ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারী

22nd October 2020 7:09 pm বাঁকুড়া
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভোটের মুখে : ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বিশেষ এক 'রুদ্ধদ্বার' বৈঠকে বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলে দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে 'ভুল বোঝাবুঝি'র অবসান হয়েছে, জেলা তৃণমূলের তরফে এই দাবি করা হলেও আদৌ যে তা হয়নি ফের আরো একবার প্রমাণিত হলো। এবার আর জেলা যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিদ্যুৎ দাস বনাম দলের জেলা সভাপতি, মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা নন। ঐ এলাকার শাসক দলের নেতৃত্ব নব নিযুক্ত রানীবাঁধ ব্লক সভাপতি চিত্ত মাহাতোর বিরুদ্ধেই জেহাদ ঘোষণা করলেন। দলের ব্লক সভাপতি 'স্বেচ্ছাচারি' ও বিজেপির সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে কাজ করছেন অভিযোগ দল ছাড়ার হুমকি দিলেন তারা ।   রাওতোড়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ভাস্কর চন্দ্র মাহাতো, রাজাকাটা অঞ্চল সভাপতি ও রানীবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিলন দাস, অম্বিকানগর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুম্ভকার, রানীবাঁধ ব্লক কিষাণ সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত হীরালাল মাহাতোরা বলেন, তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকে আমরা দল করছি। একসময় সিপিএম ও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে থেকেও এই দলে রয়েছি। বর্তমানে নবনিযুক্ত ব্লক সভাপতির কাজে আমরা খুশি নই। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো দল চালনা করছেন।একই সঙ্গে গোপনে বিজেপির সঙ্গেও সখ্যতা রেখে চলছেন বলে অভিযোগ। এরকম চলতে থাকলে তারা তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।